ঢাকার অন্যতম পুরনো সিনেমা হল ‘পর্বত’ এবার ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাজধানীর গাবতলীতে অবস্থিত এই হলটি মনোয়ার হোসেন ডিপজলের মালিকানাধীন। মিরপুর-গাবতলী এলাকার সিনেপ্রেমীদের জন্য এটি ছিল একটি উল্লেখযোগ্য বিনোদনকেন্দ্র। তবে অনেকদিন ধরেই হলটি মাঝেমধ্যে বন্ধ থাকত। ভেঙে ফেলা হচ্ছে ডিপজলের ‘পর্বত’ সিনেমা হল
ভেঙে ফেলা হচ্ছে ডিপজলের ‘পর্বত’ সিনেমা হল
অভিনেতা, প্রযোজক এবং শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডিপজল জানিয়েছেন, পর্বত সিনেমা হল ভেঙে ফেলে সেখানে একটি বড় শপিং মল গড়ে তোলা হবে। নতুন ভবনের টপ ফ্লোরে তিনি তিনটি স্ক্রিনের অত্যাধুনিক মাল্টিপ্লেক্স তৈরি করার পরিকল্পনা করেছেন। ডিপজল বলেন, “সিনেমা হল ভেঙে ফেলার খবরটি সঠিক। কিন্তু অনেকে গোটা বিষয়টা না জেনেই সমালোচনা করছেন। আমরা পরিকল্পনা করেছি, ভবনের টপ ফ্লোরে তিনটি হল নিয়ে একটি আধুনিক মাল্টিপ্লেক্স তৈরি করার।”
হল বন্ধ এবং ভবন নাজুক হওয়া
পর্বত সিনেমা হলটি অনেকদিন ধরে বন্ধ রয়েছে এবং ভবনটিও বেশ নাজুক অবস্থায় আছে। এই কারণে ডিপজল নতুন ভবন তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নতুন শপিং মলে মাল্টিপ্লেক্সটি এমনভাবে তৈরি করা হবে যাতে কম খরচে দর্শকরা সিনেমা দেখতে পারে।
সিঙ্গেল স্ক্রিন প্রেক্ষাগৃহের বিলুপ্তি
বাংলাদেশে সিঙ্গেল স্ক্রিন প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা ক্রমেই কমে আসছে। দুই দশক আগে যেখানে হাজারেরও বেশি সিঙ্গেল স্ক্রিন ছিল, সেখানে বর্তমানে টিকে আছে মাত্র ৫০টির মতো। টিকে থাকা সিঙ্গেল স্ক্রিনগুলোও দর্শক খরায় ভুগছে। এর প্রধান কারণ হলের খারাপ পরিবেশ এবং ভালো সিনেমার অভাব।
কেন পরিবর্তন জরুরি?
পর্বত সিনেমা হলের পরিবর্তন শুধুমাত্র একটি আধুনিক বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য নয়, বরং এটি সিনেপ্রেমীদের জন্য একটি নতুন সম্ভাবনা উন্মোচন করবে। অত্যাধুনিক মাল্টিপ্লেক্সে দর্শকরা উপভোগ করতে পারবেন উন্নতমানের পরিবেশে সর্বশেষ চলচ্চিত্র।
এই উদ্যোগটি শুধুমাত্র দর্শকদের জন্য নয়, বরং সিনেমা শিল্পের পুনর্জাগরণের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। ডিপজলের এই সিদ্ধান্ত সিঙ্গেল স্ক্রিন প্রেক্ষাগৃহের পরিবর্তন এবং আধুনিকীকরণের জন্য একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সিনেমা হল ভেঙে শপিং মল এবং মাল্টিপ্লেক্স তৈরি করার উদ্যোগটি যুগের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সিনেমা শিল্পকে টিকিয়ে রাখার একটি প্রচেষ্টা। ডিপজলের এই উদ্যোগে আমরা আশাবাদী যে, পর্বত মাল্টিপ্লেক্সটি হবে একটি প্রেক্ষাগৃহে নতুন বিনোদনকেন্দ্র।