নিজস্ব প্রতিবেদক
তানজিম সাকিবের জাদু | সুপার এইটে বাংলাদেশ
নেপালকে ২১ রানে হারিয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করল বাংলাদেশ। ১০৭ রানের টার্গেট ছুড়ে দিয়ে নেপালকে ৮৫ রানে আটকে দেয় টাইগাররা। সোমবার (১৭ জুন) টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৪ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১০৬ রানের সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
ব্যাটিং বিপর্যয়
ইনিংসের প্রথম বলেই বোলার সোমপাল কামিকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তানজিদ তামিম। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারে দীপেন্দ্র সিংয়ের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন শান্ত। এতে দুই ওভারেই ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই লিটন দাসের উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। তানজিদ, শান্ত, লিটনের পর প্যাভিলিয়নে ফেরেন হৃদয়ও। পাওয়ার প্লেতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।
সংগ্রহে অবদান
একের পর এক উইকেট হারাতে হারাতে শেষ পর্যন্ত ৭৫ রানে ৮ উইকেট পড়ে যায় বাংলাদেশের। সেখান থেকে রিশাদের ৭ বলে ১৩ এবং তাসকিনের অপরাজিত ১৫ বলে ১২ রানের কল্যাণে ১০০ পার করে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ১৭ রান আসে সাকিব আল হাসানের ব্যাট থেকে। মাহমুদ উল্লাহ করেন ১৩ রান। সোমপাল কামি, দীপেন্দ্র সিং, রোহিত ও লামিচানে ২টি করে উইকেট নেন।
বোলিংয়ে দুর্দান্ত বাংলাদেশ
জবাবে ব্যাট করতে নামা নেপালের ইনিংসের তৃতীয় ওভারে জোড়া আঘাত হানেন তানজিম সাকিব। পঞ্চম ও ষষ্ঠ ওভারে পরপর দুই ওভারে উইকেট হারানো নেপাল পাওয়ারপ্লেতে হারায় ৪ উইকেট। সপ্তম ওভারে তানজিম সাকিব চতুর্থ শিকার করেন। ২৬ রানে ৫ উইকেট হারানো নেপালের ষষ্ঠ উইকেটের পতন হয় ৭৮ রানে। ৫২ রানের পার্টনারশিপ করেন দীপেন্দ্র সিং ও কুশল মাল্লা। তবে বেশি দূর যেতে পারেনি নেপাল। ৮৫ রানে অল আউট হয় তারা।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ৭ রান দিয়ে দুই মেডেনসহ ৪ উইকেট নেন তানজিম সাকিব। ৩ উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজ। শেষ ২ বলে ২ উইকেট নেন সাকিব আল হাসান।
তানজিম সাকিবের জাদু
তানজিম সাকিবের বল হাতে দুর্দান্ত প্রদর্শনীতে নেপালের ব্যাটসম্যানরা পুরোপুরি ব্যর্থ হন। প্রথম জোড়া আঘাত হানার পর নেপালের ব্যাটিং লাইনআপের মেরুদণ্ড ভেঙে যায়। তানজিমের প্রতিটি ওভারই বিপক্ষ দলের জন্য একেকটি চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে। তাঁর নিখুঁত লাইন-লেংথে বল করা এবং প্রতিটি বলেই উইকেটের জন্য চাপ সৃষ্টি করা ছিল অসাধারণ।
মুস্তাফিজের সহায়তা
তানজিমের পাশাপাশি মুস্তাফিজও ছিলেন দুর্দান্ত। তার কাটার ও স্লোয়ার ডেলিভারির সামনে নেপালের ব্যাটসম্যানরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। মুস্তাফিজের নির্ভুল বোলিংয়ে নেপালের ব্যাটিং লাইনআপ পুরোপুরি ধসে পড়ে।
ভবিষ্যতের প্রস্তুতি
এই জয়ে বাংলাদেশ সুপার এইটে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছে। তবে পরবর্তী ম্যাচগুলোতে ভালো পারফরম্যান্স দেখানোর জন্য দলের ব্যাটিং ও বোলিং বিভাগে আরও উন্নতি প্রয়োজন। বিশেষ করে ব্যাটিং বিভাগে স্থিতিশীলতা আনতে হবে এবং বোলারদের উইকেট তুলে নেওয়ার দক্ষতাকে আরও শাণিত করতে হবে।
তানজিম সাকিব ও মুস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিংয়ে সুপার এইটে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। নেপালের বিপক্ষে এই জয় দলের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং পরবর্তী ম্যাচগুলোতে ভালো পারফরম্যান্স করতে সাহায্য করবে। বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের জন্য এটি একটি উৎসাহব্যঞ্জক মুহূর্ত এবং তারা আশাবাদী যে দল সুপার এইটে আরও ভালো পারফর্ম করবে।
আরও পড়ুন..
Rafat Alam
