সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি: এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত
সিলেট বিভাগের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ৩০ জুন থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও পরিস্থিতির কারণে এই পরীক্ষা আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির জরুরি বৈঠকে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি: এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত
স্থগিত পরীক্ষার পুনঃনির্ধারণ
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল খায়ের জানিয়েছেন, ৯ জুলাই থেকে সিলেট বিভাগে যে পরীক্ষাগুলো হওয়ার কথা ছিল সেগুলো যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে। তবে, ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত পরীক্ষাগুলোর নতুন সময়সূচি পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।
স্থগিত পরীক্ষার তালিকা
প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী, ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত থাকার কারণে সিলেট বোর্ডে আপাতত বাংলা প্রথমপত্র ও দ্বিতীয়পত্র এবং ইংরেজি প্রথমপত্র ও দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা হবে না। এই চারটি বিষয়ের পরীক্ষার নতুন সময়সূচি শিক্ষাবোর্ড পরবর্তীতে জানাবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সিদ্ধান্ত
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির প্রধান ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেছেন, “সিলেটের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। কিছু সময়ের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।”
বন্যার কারণে শিক্ষাব্যবস্থা ব্যাহত
বন্যা পরিস্থিতির কারণে সিলেট বিভাগের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও পরীক্ষা গ্রহণের সুবিধার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হলে পরীক্ষা গ্রহণে বাধা সৃষ্টি হতে পারে, তাই প্রাথমিকভাবে পরীক্ষাগুলো স্থগিত করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অপেক্ষার প্রহর
সিলেট বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি কঠিন সময়। তারা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, কিন্তু বন্যার কারণে তাদের পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে হচ্ছে। তবে, নতুন সময়সূচি প্রকাশিত হলে তারা পরীক্ষা দিতে পারবে এবং তাদের শিক্ষাজীবন স্বাভাবিক হবে।
সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির কারণে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্তটি সময়োপযোগী। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও পরীক্ষা গ্রহণের সুবিধার কথা বিবেচনা করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষার্থীরা নতুন সময়সূচি জানার অপেক্ষায় আছেন এবং তারা তাদের প্রস্তুতি বজায় রাখার চেষ্টা করছেন। এই কঠিন সময়ে শিক্ষার্থীদের মনোবল ধরে রাখার জন্য তাদের পরিবার ও শিক্ষকদের পাশে থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন..