রাজধানীর পল্টনে রহস্যজনক মৃত্যু: মদ্যপানের বিষক্রিয়া নাকি অন্য কিছু?
রাজধানী ঢাকার পল্টনের কালভার্ট রোডের রূপায়ন তাজ ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় মাতৃভূমি গ্রুপের অফিসে ঘটে গেছে এক রহস্যজনক ঘটনা। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাত পৌনে দশটার দিকে ফরহাদ (২১) এবং ইমন (২৩) নামের দুই যুবককে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, মদ্যপানের বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতদের পরিচয় এবং পেশা | মদ্যপানের বিষক্রিয়া
ইমন ভোলার লালমোহন থানার চৌকিদার বাড়ি গ্রামের নুর ইসলাম পাটোয়ারীর ছেলে এবং ফরহাদ একই এলাকার চর কচ্ছপিয়া গ্রামের মো. জলিলের ছেলে। তারা দুজনেই মাতৃভূমি গ্রুপে অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত এক মাস আগে তারা এই অফিসে কাজ শুরু করেছিলেন।
পুলিশের তদন্ত
পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাম কানাই সরকার ঘটনার বিস্তারিত জানিয়েছেন। সংবাদ পাওয়ার পরপরই তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং অফিসের দরজা ভেঙে যুবকদের অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেন। ফরহাদ এবং ইমনের পাশে পাওয়া গেছে কাচের বোতলে অ্যালকোহল জাতীয় পদার্থ, যা প্রাথমিকভাবে তাদের মৃত্যুর কারণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে এবং আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
মাতৃভূমি গ্রুপের প্রতিক্রিয়া
মাতৃভূমি গ্রুপের উপদেষ্টা বাপ্পী সরদার জানান, নিহতরা দুজনেই গত এক মাস ধরে অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিকেল থেকে তাদের কোনো খবর না পাওয়ায় স্বজনরা বিষয়টি অফিসে জানান। এরপর পুলিশের সহায়তায় দরজা ভেঙে তাদের অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় এবং পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়।
রহস্যজনক পরিস্থিতি
এই ঘটনাটি নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা প্রশ্ন। মদ্যপানের বিষক্রিয়া নাকি অন্য কোনো কারণ, সেটি স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে তাদের মৃত্যুর ঘটনাটি তদন্তের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রাজধানী ঢাকার পল্টনে মাতৃভূমি গ্রুপের অফিসে ফরহাদ ও ইমনের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা একটি গভীর উদ্বেগের বিষয়। মদ্যপানের বিষক্রিয়া নাকি অন্য কোনো কারণ, তা এখনই নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়। পুলিশের তদন্ত এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্টের মাধ্যমে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে। ততক্ষণ পর্যন্ত এই ঘটনাটি রহস্যে আবৃত থাকবে।
আরও পড়ুন..
সুইজারল্যান্ডের ব্যাংক থেকে বাংলাদেশিদের অর্থ তুলে নেওয়ার প্রবণতা