প্রাথমিক শিক্ষার অবস্থা: ২০২২ থেকে ২০২৩ সালে
বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষার সংকটের বিষয়ে চর্চা হচ্ছে এখন। বহুল প্রকাশিত একটি সরকারি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০২২ সালের সময়সূচির তুলনায় ২০২৩ সালে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অবশ্যই কমেছে। এ বিষয়ে সকল তথ্য ও প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) তথ্য দেখাচ্ছে যে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাত্র ১০ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী কমেছে। এটার বিপরীতে, কিন্ডারগার্টেন এবং ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়াচ্ছে বলে সরাসরি প্রতিবেদনে উল্লিখিত আছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই সংকটের মূল কারণ হলো দেশের জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার যার ফলে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে যাওয়া। এছাড়া, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নতুন সফটওয়্যার ব্যবহারের ফলে একই শিক্ষার্থীর নাম একাধিকবার থাকলে এটা বাদ পড়েছে।
এছাড়াও, করোনা মহামারির পর অর্থিক সংকটের কারণে কিছু শিক্ষার্থী কওমি মাদ্রাসায় চলে গেছেন, যা এক অন্য কারণ হিসেবে উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের কমতে সঙ্গে সঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির হারও কমেছে, এটা প্রতিবেদনে উল্লিখিত আছে।
বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সহ সকল তথ্য এবং প্রতিবেদন অনুসারে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিবছরের তুলনায় ২০২৩ সালে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে কমেছে। এখানে ইনটেগ্রেটেড প্রাইমারি এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সফটওয়্যার ব্যবহারের ফলে তথ্য সংরক্ষণ ও পর্যবেক্ষণ সহজ হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের ভুল তথ্য বা একাধিকবার নাম এন্ট্রির সম্ভাবনার প্রতিশ্রুতি দেয়।
এই প্রকার সফটওয়্যারের কারণে ২০২৩ সালে এপিএসসি-২০২৩ এ শিক্ষার্থী নথিভুক্তির সংখ্যা কমেছে। তাছাড়া, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন, এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয়, ইবতেদায়ি মাদ্রাসা সহ এই পর্যায়ের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংখ্যার উচ্চ বৃদ্ধির প্রতিবেদন প্রকাশিত আছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০২৩ সালে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গেছে, কিন্তু এছাড়া কিন্ডারগার্টেন ও ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
আরো পড়ুন: