আমের পুষ্টিগুণ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সতর্কতার পরামর্শ
বাংলাদেশের বাজারে আমের মৌসুম শুরু হয়েছে, এবং দেশি ফলের রাজা হিসেবে পরিচিত এই ফলটি শুধু স্বাদে নয়, পুষ্টিগুণেও অনন্য। পাকা আমে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি, শর্করা, আমিষ, ভিটামিন এ, বিটা ক্যারোটিন, পটাশিয়াম ইত্যাদি থাকে, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আমের পুষ্টিগুণ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা
আমের পুষ্টিগুণ
- ভিটামিন এ এবং ক্যারোটেনয়েডস: আমে থাকা ভিটামিন এ এবং অন্যান্য ক্যারোটেনয়েডস দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে এবং চোখের শুষ্কভাব দূর করতে সাহায্য করে।
- ভিটামিন সি: আমে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- পটাশিয়াম: পটাশিয়াম শরীরের ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্স ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
- আঁশ: পাকা আমে প্রচুর আঁশ থাকে, যা হজমের প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।
- এনজাইম: আমের বিশেষ এনজাইম খাদ্য উপাদানের প্রোটিনকে ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে, যা হজমে সহায়তা করে।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস: আমে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস শরীরের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক।
দৈনিক কতটুকু আম খাওয়া উচিৎ?
প্রতিদিনের খাবারের মধ্যে একজন সুস্থ মানুষ দু’টো আম খেতে পারেন। ফজলি আম খাওয়া বেশি ভালো, কারণ এতে ভিটামিন এ, পটাশিয়াম, এবং বিটা ক্যারোটিনের পরিমাণ বেশি।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পরামর্শ
ডায়াবেটিস রোগীদের আম খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ। পুষ্টিবিদরা সাধারণত ডায়াবেটিস রোগীদেরকে দৈনিক ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম আম খাওয়ার পরামর্শ দেন। আম খাওয়ার সঠিক সময় হলো মেইন খাবারের পরে অথবা খাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা পর।
অতিরিক্ত আম খেলে স্বাস্থ্যঝুঁকি
অতিরিক্ত আম খেলে ওজন বৃদ্ধি এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই পরিমিত পরিমাণে আম খাওয়া উচিৎ এবং অন্যান্য খাবারের সঙ্গে সমন্বয় করে খাওয়া উচিৎ।
পুষ্টিগুণযুক্ত আমের উপকারিতা
- দৃষ্টিশক্তি: ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- হজম: আঁশ এবং এনজাইম হজমে সহায়তা করে।
- ক্যান্সার প্রতিরোধ: অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক।
আম একটি পুষ্টিগুণে ভরপুর ফল, যা সঠিকভাবে খেলে স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। ডায়াবেটিস রোগীরা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এবং পরিমিত পরিমাণে আম খেতে পারেন। অতিরিক্ত আম খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিৎ এবং দৈনিক খাবারের মধ্যে অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান সমন্বিতভাবে গ্রহণ করা উচিৎ।
আরো পড়ুন: