কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত বরাবরই ভ্রমণপিপাসুদের অন্যতম প্রধান গন্তব্য। প্রতিদিন হাজারো মানুষ এখানে এসে সমুদ্রের নীল জলরাশির মাঝে হারিয়ে যায়। সমুদ্র ও পাহাড়ের সৌন্দর্যের পাশাপাশি কক্সবাজারে পর্যটকদের আকর্ষণ করে প্যারাসেইলিং। আকাশে উড়ে সমুদ্রের ওপরে ভেসে বেড়ানোর রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা অনেকেই নিতে চান। তবে সম্প্রতি প্যারাসেইলিং করতে গিয়ে কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে, যা পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে চিন্তা করতে বাধ্য করেছে। প্যারাসেইলিং কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাম্প্রতিক দুর্ঘটনার কারণে প্যারাসেইলিং কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। রোববার (৯ জুন) রাত ১১টার দিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম (পর্যটন সেল) মো. মাসুদ রানা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত প্যারাসেইলিং কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। এই সময়ে প্যারাসেইলিংয়ে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি যাচাই-বাছাই করা হবে এবং সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করা হবে। টেকনিক্যাল টিমের মাধ্যমে মূল্যায়ন সম্পন্ন হলে প্যারাসেইলিং পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিমানবাহিনীর কমান্ডো অফিসার, নৌবাহিনীর দক্ষ প্রশিক্ষক এবং লাইফ গার্ড ট্রেইনারসহ একটি টেকনিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিমের মূল্যায়নের ভিত্তিতে প্যারাসেইলিং পুনরায় চালু হবে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম মো. মাসুদ রানা আরও জানান, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে একটি মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হবে। এই প্রশিক্ষণে যারা সফল হবেন, তাদেরকেই প্যারাসেইলিং পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হবে। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্যারাসেইলিং পরিচালনায় নতুন মানদণ্ড প্রতিষ্ঠিত হবে এবং পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
প্যারাসেইলিং কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে
কক্সবাজারে প্যারাসেইলিং বন্ধের সিদ্ধান্তটি হয়তো অনেকের জন্য হতাশার কারণ হতে পারে, তবে নিরাপত্তার বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রশাসনের এই উদ্যোগে কক্সবাজারে পর্যটন শিল্প আরও সুরক্ষিত হবে এবং ভ্রমণপিপাসুরা নির্ভয়ে সমুদ্রের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন।
প্যারাসেইলিং পুনরায় চালুর বিষয়ে নতুন কোনো নির্দেশনা পেলে তা সাথে সাথে জানানো হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত কক্সবাজারের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন এবং অন্য রোমাঞ্চকর কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেন।
এভাবেই, কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প ধীরে ধীরে নিরাপদ ও সুরক্ষিত হয়ে উঠছে, যাতে পর্যটকরা নিশ্চিন্তে এবং আনন্দের সাথে তাদের সময় কাটাতে পারেন।