শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরের বিশৃঙ্খলা: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও সংসদ ভবনে হামলা ও লুটপাট
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও সংসদ ভবনে এক ভয়াবহ অবস্থা দেখা যায়। হাজার হাজার মানুষ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর করে, গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জামাদি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং গ্রাফিতি আঁকে। একইভাবে, সংসদ ভবনেও মানুষ প্রবেশ করে বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত করে। তবে শিক্ষার্থীদের একটি দল রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষার চেষ্টা করে এবং যারা লুটপাটের চেষ্টা করছিল তাদের থামানোর চেষ্টা করে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও সংসদ ভবনে হামলা ও লুটপাট
ভাঙচুর ও লুটপাটের পরিস্থিতি
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর, আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও সংসদ ভবনের দিকে ছুটে যায়। তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে বিভিন্ন আসবাবপত্র এবং বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কার্যালয়ের দেয়ালে তারা বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিতি এঁকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে স্লোগান লেখে। এদিকে, সংসদ ভবনের প্রতিটি কক্ষ, বাসভবন ও স্থাপনা ভাঙচুর করা হয় এবং বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়।
শিক্ষার্থীদের ভূমিকা
ভাঙচুর ও লুটপাটের মধ্যে কিছু শিক্ষার্থী রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষার জন্য এগিয়ে আসেন। তারা লুটপাটকারীদের থামানোর চেষ্টা করেন এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে ব্যাপারে সচেষ্ট থাকেন। তারা জনগণকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, এসব সম্পদ রাষ্ট্রীয় এবং জনগণের করের অর্থে কেনা, তাই এগুলো ভাঙচুর করলে দেশেরই ক্ষতি হবে।
গ্রাফিতি ও স্লোগান
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দেয়ালে গ্রাফিতি আঁকার মাধ্যমে বিক্ষোভকারীরা শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং দেশত্যাগকে প্রতীকীভাবে তুলে ধরেন। তারা গ্রাফিতিতে ‘হাসিনা পালাইছে’, ‘লিবারেশন ওয়ার ২০২৪’, ‘বিজয়’, ‘খুনি হাসিনা’ ইত্যাদি লিখে তাঁদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সমাজে প্রভাব ও ভবিষ্যৎ
এই ঘটনা দেশব্যাপী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। জনগণের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হয়েছে এবং এর ফলে সমাজে অনিশ্চয়তা বেড়েছে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরবর্তী সময়ে কীভাবে দেশের সরকার পরিচালিত হবে, তা নিয়ে জনগণের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে।
এই ঘটনাগুলো দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সামাজিক অস্থিরতার প্রতিফলন। জনগণ তাদের অধিকার ও স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করছে, কিন্তু সেই সংগ্রামে সহিংসতা এবং বিশৃঙ্খলা কোনো সমাধান নয়। দেশের নেতৃবৃন্দের উচিত এই পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণভাবে মোকাবিলা করা এবং জনগণের দাবিগুলো মেনে নিয়ে দেশের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা।
আরো পড়ুন: