কোরবানির ঈদে ঢাকা সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা: কার্যকর পদক্ষেপ ও প্রস্তুতি
ভূমিকা
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা বছরজুড়ে শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলেও কোরবানির ঈদকে ঘিরে তাদের উপর বড় দায়িত্ব থাকে। কোরবানির ঈদে শহরের ২০টি হাটের বর্জ্যের পাশাপাশি জবাই করা পশুর হাজার হাজার টন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকা পরিচ্ছন্ন করতে ২০ হাজার কর্মী
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রস্তুতি
এ বছর কোরবানির ঈদে দুই সিটি করপোরেশন ৪০ হাজার মেট্রিক টনের বেশি বর্জ্য অপসারণের প্রস্তুতি নিয়েছে। এজন্য প্রায় ২০ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং হাজারের উপরে যান-যন্ত্রপাতি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ডিএসসিসির প্রস্তুতি
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ঘোষণা দিয়েছেন যে, কোরবানির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করা হবে। ডিএসসিসি এই কাজ সম্পন্ন করার জন্য কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণ করবে।
ডিএনসিসির প্রস্তুতি
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন যে, কোরবানির ছয় ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে ডিএনসিসি সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে। ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ড থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে আমিনবাজার ল্যান্ডফিল্ডে নেওয়া হবে। এই কাজের জন্য ১০ হাজারের অধিক পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং বিভিন্ন যান-যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হবে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সরঞ্জাম
বর্জ্য প্যাকেট করতে ৯ লাখ ৪০ হাজার পলিব্যাগ, এক লাখ বায়োডিগ্রেডেবল পলিব্যাগ বিতরণ করা হবে। এছাড়াও ২,৬৮০ বস্তা ব্লিচিং পাউডার, ৯০০ ক্যান স্যাভলন, সাত হাজার টুকরি ও এক হাজার ২৫০ লিটার ফিনাইল ব্যবহার হবে।
দক্ষতার সাথে বর্জ্য অপসারণ
ডিএনসিসি বর্জ্য অপসারণের জন্য ৮৫টি ডাম্প ট্রাক, ২১টি পে-লোডার, ১৮টি পানির গাড়ি, দুটি টায়ার ডোজার, পাঁচটি স্কিড লোডার, ১৪০টি পিকআপ ও ৪৫টি কনটেইনার ক্যারিয়ার ব্যবহার করবে। অন্যদিকে, দক্ষিণ সিটির ৭৫টি ওয়ার্ডে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ৯ হাজার ৪৯৭ জন কর্মী কাজ করবেন। এ কার্যক্রমে ৫৬০টি যান-যন্ত্রপাতি নিয়োজিত থাকবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
পশু কোরবানির স্থানে ৪০ টন ব্লিচিং পাউডার এবং ২২২ গ্যালন স্যাভলন ছিটানো হবে। এছাড়া, বর্জ্যগুলো প্যাকেট করে রাখতে এক লাখ ৪০ হাজার বায়োডিগ্রেডেবল ব্যাগ বিতরণ করা হবে।
মেয়রদের বক্তব্য
ডিএসসিসির মেয়র শেখ তাপস বলেছেন, গত বছরের ন্যায় এবারও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। অন্যদিকে, ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, এ বছর ৬ ঘণ্টায় বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে ডিএনসিসি সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে।
কোরবানির ঈদে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। দুই সিটি করপোরেশনের সময়োচিত ও কার্যকর পদক্ষেপের ফলে নগরবাসী একটি পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে ঈদ উদযাপন করতে পারবে।
আরও পড়ুন..