ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের দ্বিতীয় দিনে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অবস্থান করছেন। এই দিনটি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে মৈত্রী ও সহযোগিতার একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ভারতীয় রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়, যা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার এক অপূর্ব দৃষ্টান্ত।
অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান
শেখ হাসিনা আজ সকাল নয়টার দিকে রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছান। ভারতের রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষীদের একটি অশ্বারোহী দল ভবনের গেট থেকে তাঁকে বহনকারী গাড়িবহরকে স্বাগত জানায়। ভেতরে প্রবেশ করার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
লালগালিচা সংবর্ধনা
প্রথমে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয় এবং বাংলাদেশের ও ভারতের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপর ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর চৌকস একটি দল শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গার্ড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন।
মন্ত্রিসভার পরিচয়
গার্ড অব অনার পরিদর্শনের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে শেখ হাসিনাকে পরিচয় করিয়ে দেন। শেখ হাসিনাও তাঁর সফরসঙ্গীদের মোদির সঙ্গে পরিচয় করান।
সফরসঙ্গীরা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলামসহ উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাজঘাটে শ্রদ্ধা নিবেদন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এটি তাঁর ভারত সফরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল, যা দুই দেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ককে পুনরুজ্জীবিত করে।
মোদির সঙ্গে বৈঠক
শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদির মধ্যে হায়দরাবাদ হাউসে একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, এবং কূটনৈতিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়।
আলোচনার মূল বিষয়বস্তু
দুই দেশের মধ্যে অর্থনীতি, যোগাযোগ, বাণিজ্য এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়। এই বৈঠক থেকে দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সফরের সারাংশ
দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শেখ হাসিনা ও তাঁর সফরসঙ্গীরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করবেন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে কাজ করবেন। শেখ হাসিনার এই সফর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফর বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে মৈত্রী ও সহযোগিতার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে। এটি দুই দেশের জনগণের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।
আরো পড়ুন: