ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় ১৪ ধাপ এগিয়েছে ঢাকা
বিশ্বব্যাপী প্রবাসীদের জন্য ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান এবার অনেকটা এগিয়েছে। ২০২৪ সালের মার্সার কস্ট অব লিভিং সার্ভের তথ্যানুযায়ী, ঢাকার অবস্থান এখন ১৪০তম, যা ২০২৩ সালে ছিল ১৫৪তম। ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় ১৪ ধাপ এগিয়েছে ঢাকা
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ব্যয়বহুল শহর
দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ ব্যয়বহুল শহর হল ভারতের মুম্বাই, যা ১৩৬তম স্থানে রয়েছে। এরপরই রয়েছে ঢাকা। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি ১৬৫তম, শ্রীলংকার কলম্বো ১৯০তম এবং পাকিস্তানের ইসলামাবাদ ২২৪তম স্থানে রয়েছে।
শীর্ষ ব্যয়বহুল শহর
মার্সার কস্ট অব লিভিং সার্ভেতে শীর্ষে রয়েছে হংকং, যা গত কয়েক বছর ধরে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। এরপর রয়েছে সিঙ্গাপুর, জুরিখ, জেনেভা, বাসেল, বার্ন, নিউইয়র্ক, লন্ডন, নাসাউ, এবং লস অ্যাঞ্জেলেস।
মূল্যায়নের মাপকাঠি
তালিকা করতে বিশ্বের ২২৬টি শহরের অন্তত ২০০টি বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পরিবহন, খাদ্য, পোশাক, গৃহস্থালী সামগ্রী, ও বিনোদন।
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার শহরগুলো
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর নিউইয়র্ক সপ্তম স্থানে এবং লস অ্যাঞ্জেলেস দশম স্থানে রয়েছে। কানাডার সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর টরন্টো ৯২তম স্থানে এবং ভ্যানকুভার পরের স্থানে রয়েছে।
ফোকাস কীফ্রেজ: ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় ঢাকা
বিস্তারিত বিবরণ
মার্সারের প্রতিবেদনে ঢাকার অবস্থান ১৪ ধাপ এগিয়ে ১৪০তম স্থানে পৌঁছানো বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বহন করে। এ তালিকা তৈরিতে বিভিন্ন ধরনের ব্যয়ের উপাদান যেমন খাদ্য, পরিবহন, পোশাক, বিনোদন ইত্যাদি বিবেচনা করা হয়েছে। ঢাকার ব্যয় বৃদ্ধি বিশেষত প্রবাসী কর্মজীবীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এই তালিকার শীর্ষস্থানে থাকা শহরগুলো অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবনে কীভাবে প্রভাব ফেলছে তা বিস্তারিতভাবে পর্যবেক্ষণ করা যেতে পারে। ঢাকার ব্যয়বহুলতা বৃদ্ধির কারণগুলো বিশ্লেষণ করে প্রবাসী ও অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির সম্পর্কিত বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন..