সিলেটে বন্যার পানি ঢুকেছে ৪৬৭ স্কুল-মাদ্রাসায়: বিশ্লেষণ ও প্রভাব
সিলেট অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলের কারণে বন্যার প্রকোপ বেড়ে গেছে। এর ফলে জেলার ৪৬৭টি স্কুল ও মাদ্রাসায় পানি ঢুকে পড়েছে, যা স্থানীয় শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাখাওয়াত এরশেদ জানান, এই সময়ে বিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকলেও বন্যার কারণে বিদ্যালয়ের মেঝে ও আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নিরূপণ করতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সিলেটে বন্যার পানি ঢুকেছে ৪৬৭ স্কুল-মাদ্রাসায়
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিস্থিতি
জেলায় ১,৪৭৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪১৭টিতে পানি ঢুকেছে। এছাড়াও ১৫৪টি বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশেষ করে গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়ের সংখ্যা
- গোয়াইনঘাট: ১০৭টি
- কানাইঘাট: ৭২টি
- কোম্পানীগঞ্জ: ৬৪টি
- জৈন্তাপুর: ২৭টি
- ওসমানীনগর: ৩০টি
- বিশ্বনাথ: ৩০টি
- বালাগঞ্জ: ২৬টি
- সিলেট সদর: ২৩টি
- বিয়ানীবাজার: ১৭টি
- ফেঞ্চুগঞ্জ: ১০টি
- জকিগঞ্জ: ৯টি
- গোলাপগঞ্জ: ২টি
মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার পরিস্থিতি
সিলেটের জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. আবদুল ওয়াদুদ জানান, প্রায় ৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
বন্যার পূর্ববর্তী ও বর্তমান পরিস্থিতি
২৯ মে ভারী বৃষ্টি ও উজানের পানি থেকে সৃষ্ট ঢলের কারণে সিলেটে প্রথমবার বন্যা দেখা দেয়। ৮ জুনের পর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও, পুনরায় গত সোমবার থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে।
বন্যার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম
বন্যার কারণে জেলার বেশ কিছু স্কুল ও মাদ্রাসায় শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। পানির কারণে স্কুলের মেঝে ও আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সচল রাখতে দ্রুত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও মেরামতির ব্যবস্থা নিতে হবে।
সিলেটের বন্যার কারণে ৪৬৭টি স্কুল ও মাদ্রাসায় পানি ঢুকে পড়েছে। এ সময় স্কুলগুলো বন্ধ থাকলেও আসবাবপত্র ও মেঝে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনরুদ্ধার ও শিক্ষাকার্যক্রম সচল রাখতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। বন্যার কারণে সৃষ্ট এই সংকট মোকাবিলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয় জরুরি।
আরও পড়ুন..