চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন পরবর্তী ফলাফল ও কমিটি নিয়ে চলা বিবাদ ও লড়াইয়ের মধ্যে রয়েছেন দেশের জনপ্রিয় নায়িকা নিপুণ ও প্রভাবশালী অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। এই আইনি লড়াই এফডিসির পরিবেশেও প্রভাব ফেলছে। তবে আসন্ন কোরবানি ঈদে এফডিসির পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শিল্পী সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ডিপজল। শিল্পী সমিতির নির্বাচন বিবাদ ও ডিপজলের প্রতিশ্রুতি
পরীমনির পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি
কোরবানি ঈদ উপলক্ষে এফডিসিতে কোরবানি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। তবে তার রয়েছে একটি শর্ত। তিনি বলেছেন, “শুধুমাত্র এফডিসিতে আনন্দময় পরিবেশের নিশ্চয়তা পেলেই সেখানে কোরবানি দেব।” এই বিষয়ে পরীমনির এমন বক্তব্যে দৃষ্টি গোচর করা হয়েছে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডিপজলকে।
ডিপজলের প্রতিশ্রুতি
ডিপজল জানিয়েছেন, পরীমনিকে এফডিসিতে কোরবানির জন্য সকল ধরণের সহযোগিতা করা হবে। তিনি বলেন, “আমরা সবাই একসঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করব। কেন এফডিসিতে কোরবানি দিতে বাধা দেওয়া হবে? আমরা একসঙ্গে কোরবানি দেব, আনন্দ-ভাগাভাগি করব। কোরবানি শেষে ময়লা ধুয়ে পরিস্কার করে দেওয়া হবে। পরীমণিকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। আমরা তার পাশে আছি। তাকে সুন্দর পরিবেশের নিশ্চয়তা দিচ্ছি। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। এবার এফডিসিতে উৎসবমুখর পরিবেশে কোরবানি দেওয়া হবে।”
নির্বাচন পরবর্তী বিবাদ
গত ১৯ এপ্রিল শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি পদে মিশা সওদাগর ২৬৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদ কলি ১৭০ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল পেয়েছেন ২২৫ ভোট। ১৬ ভোট কম পেয়েছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণ আক্তার। তিনি পেয়েছেন ২০৯ ভোট। নির্বাচনের পর ডিপজলকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন নিপুণ। একসঙ্গে মিলে কাজ করার কথাও জানান তখন তিনি।
আইনি লড়াই
নির্বাচনের পর হঠাৎ করেই অনিয়মের অভিযোগ করে আদালতে রিট দায়ের করেন নিপুণ। এই রিটের প্রেক্ষিতে সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। পরে চেম্বার আদালত ডিপজলের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করে। ফলে শিল্পী সমিতির সম্পাদক পদে ডিপজলের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই বলে জানান আইনজীবীরা।
ডিপজলের এই প্রতিশ্রুতি এফডিসির পরিবেশকে শান্তিপূর্ণ রাখার পাশাপাশি পরীমণির কোরবানির জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়তা করবে। এই ধরনের উদ্যোগ চলচ্চিত্র শিল্পের মধ্যে সদ্ভাব ও ঐক্য বাড়াতে সহায়ক হবে।