দিশা পাটানির ফিটনেস রহস্য: কীভাবে বজায় রাখেন ছিপছিপে চেহারা
বলিউডের অন্যতম ফিটনেস আইকন দিশা পাটানি, যিনি তার ছিপছিপে এবং তন্বী চেহারার জন্য পরিচিত, সম্প্রতি ৩২ বছরে পা দিয়েছেন। বলিউডপাড়ায় ফিটনেস ফ্রিক হিসাবে তার নামডাক আছে এবং এই খ্যাতি তিনি অর্জন করেছেন নিয়মিত শরীরচর্চা এবং কঠোর ডায়েট মেনে চলার মাধ্যমে। দিশা পাটানির ফিটনেস এবং ডায়েট পরিকল্পনা নিয়ে জানতে হলে, চলুন তার দৈনন্দিন রুটিনের কিছু দিক দেখে নিই। দিশা পাটানির ফিটনেস রহস্য: কীভাবে বজায় রাখেন ছিপছিপে চেহারা
দিশা পাটানির প্রতিদিনের শরীরচর্চা
দিশা পাটানি তার শরীরচর্চার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কঠোর। ব্যস্ততার মাঝেও প্রতিদিন তিনি সময় বের করে জিমে যান। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সেখানে কাটিয়ে কঠোর পরিশ্রম করেন। দিশার ফিটনেস রুটিনে থাকে কার্ডিও, ওজন তোলা এবং স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ। এর ফলে তার চেহারা সবসময় তন্বী এবং ফিট থাকে।
দিশা পাটানির ডায়েট পরিকল্পনা
দিশার ডায়েট নিয়ে অনেকেই কৌতূহলী। তিনি দিনে চারবার খান এবং প্রতিটি খাবারই সুষম ও পুষ্টিকর।
সকালের নাস্তা
দিশার সকাল শুরু হয় হলুদ দিয়ে। তিনি হালকা গরম পানিতে হলুদ মিশিয়ে পান করেন। এরপর তার সকালের নাস্তায় থাকে ডিম, পাউরুটি এবং মৌসুমি সবজি যা গোলমরিচ এবং মাখন দিয়ে নাড়াচাড়া করা হয়।
দুপুরের খাবার
দিশা প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার দুপুরে খান। শুটিংয়ে থাকলেও তিনি বাড়ির খাবার সঙ্গে নিয়ে যান।
সন্ধ্যার খাবার
দিশা সন্ধ্যার খাবারেও সমান গুরুত্ব দেন। কাজের ব্যস্ততা যতই থাক, সন্ধ্যা ৬টা বাজলেই তিনি স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে নেন। মাখানা, পপকর্ন এবং শুকনো খোলায় ভাজা বাদাম তার সন্ধ্যার স্ন্যাক্সের মধ্যে অন্যতম।
রাতের খাবার
রাতে ভারী খাবার খাওয়া দিশার একেবারেই পছন্দ নয়। তাই দুপুরের খাবারের একটি কম পরিমাণে রাতের খাবার হিসাবে গ্রহণ করেন।
চিট ডে
দিশা পাটানির ডায়েটে প্রতি সপ্তাহে একদিন চিট ডে থাকে, সাধারণত রবিবার। এদিন তিনি পছন্দের সব খাবার মন ভরে খান এবং কোনো ডায়েটের ধার ধারি না। তবে চিট ডে-র পরের দিন তিনি এক ঘণ্টা বেশি জিমে থাকেন, শরীরচর্চা করে অতিরিক্ত ক্যালোরি বার্ন করেন।
দিশা পাটানির ফিটনেসের প্রতি দৃঢ়তা
দিশা পাটানির ফিটনেসের প্রতি দৃঢ়তা এবং প্রতিশ্রুতি তাকে বলিউডের অন্যতম ফিটনেস আইকন হিসাবে পরিচিত করেছে। তার নিয়মিত শরীরচর্চা এবং কঠোর ডায়েট মেনে চলা তাকে সবসময় ফিট এবং ছিপছিপে রাখতে সাহায্য করে। তার জীবনের এই নিয়মানুবর্তিতা অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে, যারা তাদের ফিটনেস এবং স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন।
দিশা পাটানির ফিটনেস রুটিন এবং ডায়েট পরিকল্পনা অনুসরণ করলে যে কেউ তার মতো ফিট থাকতে পারেন। তবে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিয়মানুবর্তিতা এবং কঠোর পরিশ্রম। দিশার মতোই নিজের শরীরের প্রতি যত্ন নেওয়া এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা অত্যন্ত প্রয়োজন।
আরো পড়ুন: