মানসিক চাপ দূর করতে যোগব্যায়াম: মালাইকা অরোরার পরামর্শ
মালাইকা অরোরার বর্তমান যুগের দ্রুতগতির জীবনে মানসিক চাপ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। ঘুম থেকে উঠে সময়মতো বাড়ির কাজ শেষ করা হোক বা অফিসের ঊর্ধ্বতনের চাপ সামলানো— মানসিক চাপ আমাদের সবসময় গ্রাস করে থাকে। যার ফলস্বরূপ কম বয়সীদের মধ্যেও উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্থূলতার মতো রোগের বাড়বাড়ন্ত দেখা যাচ্ছে। এই মানসিক চাপের কারণে ব্যক্তিগত জীবনেও নানা ধরনের বিপত্তি দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকরা তাই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে যোগব্যায়াম এবং ধ্যান করার পরামর্শ দেন। মানসিক চাপ দূর করতে যোগব্যায়াম: মালাইকা অরোরার পরামর্শ
তারকাদের জীবনেও চাপ: মালাইকা অরোরার যোগব্যায়াম চর্চা
যেমনটা সাধারণ মানুষের জীবনে চাপ থাকে, ঠিক তেমনি তারকাদের জীবনেও নানা ধরনের চাপ থাকে। এই চাপ সামাল দিতে নিয়মিত যোগব্যায়াম করেন বলিউডের জনপ্রিয় আইটেম তারকা মালাইকা অরোরা। অভিনয় এবং নাচের পাশাপাশি মালাইকা শরীরচর্চার জন্যও অত্যন্ত জনপ্রিয়। ইনস্টাগ্রামে প্রায়ই তার শরীরচর্চার ভিডিও পোস্ট করেন তিনি, যা তার অনুরাগীদের মধ্যে বেশ প্রশংসিত হয়। তেমনই একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, মালাইকা ‘অর্ধ কপোতাসন’ অভ্যাস করছেন।
‘অর্ধ কপোতাসন’ এর উপকারিতা
মালাইকা তার ভিডিও পোস্ট করে অনুরাগীদের উদ্দেশে লিখেছেন, “মানসিক চাপ দূর করতে আমার সঙ্গে এই ব্যায়ামটি অভ্যাস করুন। হাফ পিজিয়ন বা অর্ধ কপোতাসন দেহের নমনীয়তা বজায় রাখতে এবং নিতম্বের পেশি মজবুত করতে দারুণভাবে কাজ করে। এই ভঙ্গিমা অভ্যাস করার ফলে টেনশন বা স্ট্রেস থেকে হওয়া পিঠের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে।”
‘অর্ধ কপোতাসন’ এর অন্যান্য উপকারিতা
এই ব্যায়াম শুধু মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে না, আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। যেমন:
- হজমের সমস্যা দূর করতে: নিয়মিত অর্ধ কপোতাসন অভ্যাস করলে হজমের সমস্যা দূর হয়।
- দেহের ভারসাম্য বজায় রাখতে: এই ব্যায়াম দেহের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- মেরুদণ্ডের নমনীয়তা বৃদ্ধি: মেরুদণ্ডের নমনীয়তা বৃদ্ধির জন্য অর্ধ কপোতাসন অত্যন্ত কার্যকরী।
- দেহ ও মনের যোগ স্থাপন: দেহের সঙ্গে মনের যোগ গড়ে তুলতে এই ভঙ্গিমা দারুণভাবে সাহায্য করে।
যোগব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে এবং শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী একটি পদ্ধতি। মালাইকা অরোরা যেমন তার জীবনযাত্রায় নিয়মিত যোগব্যায়াম চর্চা করেন, তেমনি আমাদেরও উচিত যোগব্যায়ামকে দৈনন্দিন জীবনের অংশ করা। এতে মানসিক চাপ কমে যাবে, শরীরের বিভিন্ন পেশি মজবুত হবে এবং আমরা আরও সুস্থ ও আনন্দময় জীবনযাপন করতে পারব।
আরো পড়ুন: