মেহজাবীন চৌধুরীর টেলিফিল্ম ‘তিথিডোর’: ডিপ্রেশন এবং নারীদের জীবনের গল্প
সম্প্রতি জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী তার অভিনীত টেলিফিল্ম ‘তিথিডোর’ নিয়ে বেশ আলোচিত হয়েছেন। ঈদুল আজহা উপলক্ষে মুক্তি পাওয়া এই টেলিফিল্মে মেহজাবীন অভিনয় করেছেন নিশাত নামের এক আত্মহত্যার প্রবণতায় ভোগা মেয়ের চরিত্রে। এই টেলিফিল্মটি পরিচালনা করেছেন ভিকি জাহেদ এবং লিখেছেন জাহান সুলতানা। মুক্তির পর থেকেই নাটকটি ব্যাপক প্রশংসা কুড়াচ্ছে, বিশেষত মেহজাবীনের অভিনয়ের জন্য।
টেলিফিল্মের পটভূমি
‘তিথিডোর‘ টেলিফিল্মে দেখানো হয়েছে নিশাত নামের এক মেয়ের জীবন, যিনি আত্মহত্যার প্রবণতায় ভুগছেন। এই সময়ের জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক একটি গল্প তুলে ধরেছে নাটকটি। আত্মহত্যা করার প্রবণতা এবং এর ফলে সমাজ ও পরিবারের ওপর যে প্রভাব পড়ে, তা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে।
মেহজাবীনের ফেসবুক পোস্ট
মেহজাবীন চৌধুরী তার ফেসবুক পোস্টে নাটকটি ৩০ বছর বা এর ঊর্ধ্ব নারীদের উৎসর্গ করেছেন। তিনি লিখেছেন, “আপনার বয়স ৩০ মানেই আপনার অন্তত একটা মন ভাঙার গল্প আছে। হঠাৎ একদিন দেখবেন যে মানুষটা একসময় আপনাকে কষ্ট দিয়েছে, সেই মানুষটা অথবা সেই মানুষগুলো অনেক ভালো আছে।” তিনি আরো যোগ করেছেন, “ডিপ্রেশন ইস রিয়েল, আমাদের আশপাশে অনেকেই এই রোগে ভুগছেন কিন্তু তারা হয়তো নিজেরাই জানেন না। ডিপ্রেশনের কোনো স্পেসিফিক সিম্পটম নেই, চোখের দেখায় বোঝা যায় না।”
ডিপ্রেশনের বাস্তবতা
মেহজাবীন ডিপ্রেশনের বাস্তবতা নিয়ে তার অভিমত তুলে ধরেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, অনেকেই ডিপ্রেশন নামক মানসিক সমস্যায় ভুগছেন কিন্তু তারা নিজেরাই এটি বুঝতে পারেন না। ডিপ্রেশন একটি জটিল মানসিক অবস্থা, যার কোনো নির্দিষ্ট লক্ষণ নেই। প্রিয়জনদের আচরণে যদি পরিবর্তন দেখা যায় তাহলে তাদের সাথে মন খুলে কথা বলার এবং প্রফেশনাল সহায়তা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
নাটকটির প্রভাব
‘তিথিডোর’ নাটকটি আত্মহত্যার প্রবণতায় ভোগা ব্যক্তিদের জীবনের বিভিন্ন দিক এবং তাদের মানসিক অবস্থা তুলে ধরেছে। এই ধরনের নাটক সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। মেহজাবীনের এই অভিনয় এবং তার বার্তা সমাজে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
মেহজাবীন চৌধুরীর ‘তিথিডোর’ টেলিফিল্মটি মানসিক স্বাস্থ্য এবং ডিপ্রেশনের বাস্তবতা নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছে। ৩০ বছর বা এর ঊর্ধ্ব নারীদের জীবন সংগ্রাম, মানসিক চাপ এবং ডিপ্রেশনের বাস্তবতা তুলে ধরার মাধ্যমে নাটকটি সমাজে একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা এবং সহানুভূতি বৃদ্ধির এই প্রয়াসকে আরও উৎসাহিত করা উচিত।
আরো পড়ুন:
সুইজারল্যান্ডের ব্যাংক থেকে বাংলাদেশিদের অর্থ তুলে নেওয়ার প্রবণতা