সোনার দাম বাড়লো: নতুন মূল্য কার্যকর ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে
বাংলাদেশের স্বর্ণ বাজারে আবারও পরিবর্তন আসছে। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় যে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। নতুন মূল্য অনুযায়ী, সোনার দাম বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।
সোনার নতুন মূল্য তালিকা
বাজুসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের সোনার প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) নতুন দামে বিক্রি হবে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৮ টাকায়। এছাড়া, অন্যান্য ক্যারেটের সোনার দাম নিম্নরূপ নির্ধারণ করা হয়েছে:
- ২১ ক্যারেট সোনা: প্রতি ভরি ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৮ টাকা
- ১৮ ক্যারেট সোনা: প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৯১ টাকা
- সনাতন পদ্ধতির সোনা: প্রতি ভরি ৯৩ হাজার ১৬০ টাকা
রুপার মূল্য অপরিবর্তিত
যদিও সোনার দাম বেড়েছে, রুপার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। রুপার ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমান দাম হলো:
- ২২ ক্যারেট রুপা: প্রতি ভরি ২ হাজার ১০০ টাকা
- ২১ ক্যারেট রুপা: প্রতি ভরি ২ হাজার ৬ টাকা
- ১৮ ক্যারেট রুপা: প্রতি ভরি ১ হাজার ৭১৫ টাকা
- সনাতন পদ্ধতির রুপা: প্রতি ভরি ১ হাজার ২৮৩ টাকা
গতকালের মূল্য তালিকা
বাজুস গতকাল (২৪ সেপ্টেম্বর) সোনার দাম নির্ধারণ করেছিল, যার ভিত্তিতে আজ ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সোনা বিক্রি হয়েছে। সেই অনুযায়ী, আজকের সোনার দাম ছিল:
- ২২ ক্যারেট সোনা: প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬৪ টাকা
- ২১ ক্যারেট সোনা: প্রতি ভরি ১ লাখ ২৯ হাজার ৫০৫ টাকা
- ১৮ ক্যারেট সোনা: প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা
- সনাতন পদ্ধতির সোনা: প্রতি ভরি ৯১ হাজার ৩৮ টাকা
সোনার দামের বৃদ্ধি: বাজারের প্রেক্ষাপট
সোনার দামের এই বৃদ্ধি অনেকটা প্রত্যাশিত ছিল, কারণ বিশ্ববাজারেও সোনার দর বেড়েছে। স্থানীয় বাজারেও তেজাবী সোনার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজুস এই নতুন মূল্য নির্ধারণ করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববাজারে সোনার মূল্য ওঠানামা করছে, যা সরাসরি বাংলাদেশের সোনার বাজারকে প্রভাবিত করছে। বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়ার কারণগুলির মধ্যে রয়েছে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা, মূল্যস্ফীতি এবং বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে সোনার প্রতি ঝোঁক।
কেন সোনার দাম বাড়ছে?
বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়ার অন্যতম কারণ হলো বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতা। যখন বাজারে অস্থিতিশীলতা দেখা দেয়, তখন বিনিয়োগকারীরা সোনার দিকে ঝোঁকে, কারণ এটি ঐতিহ্যগতভাবে একটি নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত হয়। এছাড়াও, ডলারের মান কমে যাওয়া এবং বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মুদ্রানীতি পরিবর্তন সোনার দামকে প্রভাবিত করে।
ভবিষ্যতের দামের পূর্বাভাস
বিশেষজ্ঞদের মতে, সোনার বাজারে আরও ওঠানামা দেখা দিতে পারে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যদি আরও অস্থির হয়, তাহলে সোনার দাম আরও বাড়তে পারে। তবে স্থানীয় বাজারেও বিভিন্ন প্রভাব রয়েছে, যেমন মুদ্রার মান, আমদানি খরচ, এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক উপাদানগুলো। ফলে সোনার দাম নিয়ে আরও পরিবর্তন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন
কোটার সংস্কার ও সরকার পতনের আন্দোলনে সহস্রাধিক নিহত ও চার শতাধিক মানুষ দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন