টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪: ভারতের খেলোয়াড় ও স্টাফদের পুরস্কার
২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিজয়ের পর, বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) খেলোয়াড় ও স্টাফদের মধ্যে মোট ১২৫ কোটি রুপি পুরস্কার ঘোষণা করেছে। এতে প্রত্যেক খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, এবং অন্যান্য সাপোর্ট স্টাফ তাদের অবদানের জন্য পুরস্কৃত হচ্ছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪: ভারতের খেলোয়াড় ও স্টাফদের পুরস্কার. এই পোস্টে, আমরা বিসিসিআইয়ের ঘোষণা করা পুরস্কার এবং সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
খেলোয়াড়দের পুরস্কার
বিশ্বকাপ দলে থাকা ১৫ জন খেলোয়াড় প্রত্যেকেই পাচ্ছেন ৫ কোটি রুপি করে। যশস্বী জয়সোয়াল, সঞ্জু স্যামসন ও যুজবেন্দ্র চাহাল—যারা ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি—তারাও সমান পরিমাণ অর্থ পাচ্ছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য খেলোয়াড়দের মধ্যে আছেন:
- রোহিত শর্মা (ক্যাপ্টেন)
- বিরাট কোহলি
- হার্দিক পান্ডিয়া
- জসপ্রিত বুমরাহ
কোচিং স্টাফের পুরস্কার
প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড় সহ অন্যান্য কোচিং স্টাফরাও পুরস্কৃত হচ্ছেন। কোচিং স্টাফদের মধ্যে আছেন:
- রাহুল দ্রাবিড় (প্রধান কোচ): ৫ কোটি রুপি
- বিক্রম রাঠোর (ব্যাটিং কোচ): আড়াই কোটি রুপি
- টি দিলিপ (ফিল্ডিং কোচ): আড়াই কোটি রুপি
- পরস মামব্রে (বোলিং কোচ): আড়াই কোটি রুপি
সাপোর্ট স্টাফের পুরস্কার
দলের সাথে যুক্ত সাপোর্ট স্টাফরাও পুরস্কার পাচ্ছেন। তাদের মধ্যে আছেন তিনজন ফিজিও, তিনজন থ্রোডাউন স্পেশালিস্ট, দুজন মালিশকারী এবং স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ। তারা প্রত্যেকে ২ কোটি রুপি করে পাচ্ছেন।
রিজার্ভ খেলোয়াড়দের পুরস্কার
রিজার্ভ খেলোয়াড়দের মধ্যে আছেন:
- রিংকু সিং
- শুবমান গিল
- আবেশ খান
- খলিল আহমেদ
নির্বাচক কমিটির পুরস্কার
নির্বাচক কমিটির প্রত্যেকে ১ কোটি রুপি করে পাচ্ছেন। এই কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন অজিত আগারকার।
অতিরিক্ত পুরস্কার
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের জন্য ১১ কোটি রুপি অর্থ পুরস্কার প্রদান করেছেন।
অতীতের পুরস্কার
২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি এবং ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ী দলগুলোকেও পুরস্কৃত করা হয়েছিল। ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী দলকে ১২ কোটি রুপি পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।
উপসংহার
ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ এর বিজয় উদযাপনের অংশ হিসেবে বিসিসিআই ও মহারাষ্ট্র সরকারের পুরস্কার প্রদান একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে। এই পুরস্কার শুধু খেলোয়াড়দের নয়, সাপোর্ট স্টাফ ও কোচিং স্টাফদের কঠোর পরিশ্রমের স্বীকৃতি হিসেবেও দেখা হবে। এই উদ্যোগ ভারতের ক্রিকেটের ভবিষ্যতের জন্য একটি উৎসাহবর্ধক পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য করা হবে।
আরো পড়ুন:
শালিনী পান্ডের বলিউড যাত্রা: প্রথম ছবির সাফল্য থেকে ‘মহারাজ’ ছবির অস্বস্তি