নাসাউ কাউন্টিতে ভারত অবশ্য আরও বড় কিছু আশা করেছিল নিশ্চিতভাবেই। ১১ ওভারেও তাদের রান ছিল ৮৯। সেখান থেকে ১৬০ বা এর বেশি স্কোরও আশা করেছিল টিম ইন্ডিয়া। সেখান থেকেই লাগাম টেনে ধরল পাকিস্তানের বোলাররা। নাসিম শাহ আর হারিস রউফের তিন উইকেটের পাশাপাশি, মোহাম্মদ আমিরের জোড়া শিকার পাকিস্তানকে ফেরায় ম্যাচে। ঋষভ পান্তই ছিলেন বিপজ্জনক। ৩১ বলে ৪২ রান করে ভারতকে রানে রেখেছিলেন তিনিই। ১৫তম ওভারে পরপর দুই বলে পান্ত এবং রবীন্দ্র জাদেজাকে ফেরান আমির। ম্যাচের গতিপথ বদলে যায় সেখানেই। ভারতকে শেষ পর্যন্ত ১১৯ রানে আটকে রাখায় সাহায্য করেছেন হারিস রউফ। হার্দিক পান্ডিয়া এবং জাসপ্রিত বুমরাহকে জোড়া আঘাতে ফিরিয়ে ভারতের লেজ গুটিয়ে দেন তিনি। পাকিস্তানের বোলিং তোপে ১১৯ রানেই অলআউট ভারত
দিনটা পাকিস্তানের হতে পারে সেটা বোঝা গিয়েছিল শুরুতেই।
দুই দলের এই মহারণে ভারতের হয়ে আজ ওপেনিংয়ে নামেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। প্রথম ওভারেই এই দুই ওপেনার নেন ৮ রান। তবে এরপরেই আবারও হানা দেয় বৃষ্টি, যার ফলে বন্ধ থাকে খেলা। প্রায় ২০ মিনিট বন্ধ থাকার পর পুনরায় শুরু হয় খেলা। বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলে নিজেদের জুটিকে আর বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি তারা।
দলীয় ১২ রানে রোহিত বিরাট কোহলি সাজঘরে ফিরে গেলে ভেঙে যায় এই জুটি। ৩ বলে ৪ রান করা বিরাট নাসিম শাহ এর বলে উসমান কানের হাতে ক্যাচ তুলে দিযে ফিরে যান সাজঘরে। তার বিদায়ে ১২ রানেই প্রথম উইকেট হারায় ভারত।
বিরাট কোহলির পর সাজঘরে ফিরে যান আরেক ওপেনার রোহিত শর্মাও। আগের ম্যাচে অর্ধশতক তুলে নেওয়া রোহিত আজ ১২ বলে ১৩ রান করে শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে হারিস রউফের হাতে ক্রাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান সাজঘরে।
এই দুই ওপেনারের বিদায়ের পর জুটি গড়েন অক্ষর প্যাটেল ও রিশভ পান্ত। এই জুটিতে ঘুরে দাঁড়াতে থাকে রোহিত শর্মার দল। তবে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই এই জুটিকে থামান নাসিম শাহ। নাসিম শাহর বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান অক্ষর প্যাটেল। আউট হওয়ার আগে করেন ১৮ বলে ২০ রান। তার বিদায়ে ভাঙে ৩৯ রানের জুটি।
অক্ষর প্যাটেলের বিদায়ের পর সূর্যকুমার যাদবকে নিয়ে জুটি গড়নে রিশভ পান্ত। তবে এই জুটিকে বেশিদূর এগোতে দেননি হারিস রউফ। হারিস রউফের বলে মোহাম্মদ আমিরের হাতে ক্যাচ তুলে দিযে সাজঘরে ফিরে যান সূর্যকুমার যাদব। তার বিদা্য়ে ৮৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে ভারত।
দলের বিপদ আরও বাড়িয়ে একে একে সাজঘরে ফিরে যান শিভাম দুবে, ও রিশভ পন্ত রবীন্দ্র জাদেজা। এই তিন ব্যাটারের বিদায়ে মাত্র ৯৬ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছ ভারত।
মাত্র ৯৬ রানেই ৭ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন আর্শদীপ সিং ও হার্দিক পান্ডিয়া। অষ্টম উইকেটে তারা গড়েন ১৬ রানের জুটি। দলীয় ১১২ রানে হার্দিক পান্ডিয়ার বিদায়ে ভেঙে যায় এই জুটি। ১২ বলে ৭ রান করা পান্ডিয়া হারিস রউফের বলে ইমাদ ওয়াসিমের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান সাজঘরে।
হার্দিক পান্ডিয়ার বিদায়ের পরের বলেই সাজগরে ফিরে যান জসপ্রিত বুমরাহ। তার বিদায়ে ১১২ রানেই ৯ উইকেট হারায় ভারত। শেষ পর্যস্ত ১৯ ওভারে ১১২ রান করে শেষ উইকেটটাও হারায় ভারত। পাকিস্তানের হয়ে হারিস রউফ ৩টি, নাসিম শাহ ৩টি, মোহাম্মদ আমির ২ টি ও শাহিন শাহ আফ্রিদি ১ টি করে উইকেট নেন।