রাজার পাহাড় ভ্রমণ – শ্রীবরদী, শেরপুর
রাজার পাহাড়, বাংলাদেশের ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলায় ঢেউফা নদীর তীরে অবস্থিত। এই পাহাড় ও নদী পরিবেষ্টিত পর্যটন কেন্দ্রটি প্রকৃতিপ্রেমীদের মনকে আকর্ষণ করে। আজকের পোস্টে শ্রীবরদী উপজেলার রাজার পাহাড় সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। শেয়ার রাজার পাহাড় (Rajar Pahar)
রাজার পাহাড়ের পরিচিতি
ভ্রমণ স্থান
- ভ্রমণ স্থান: রাজার পাহাড়
- ধরন: পাহাড়, পর্যটন কেন্দ্র
- অবস্থান: শ্রীবরদী, শেরপুর, ময়মনসিংহ
- ঢাকা থেকে দূরত্ব: প্রায় ২১৭ কিলোমিটার
- ড্রোন উড়ানো যাবে: হ্যাঁ
রাজার পাহাড়ের বিশেষত্ব
রাজার পাহাড় ঢেউফা নদীর তীরে গারো পাহাড়ের সবচেয়ে উঁচু চূড়ায় অবস্থিত। এখানে শতাধিক হেক্টর সমতল ভূমি রয়েছে যা পর্যটকদের জন্য উপভোগ্য। ভ্রমণে গেলে আকাশ ছোঁয়া বিশাল পাহাড়ের নৈস্বর্গিক দৃশ্য আপনার মনকে প্রকৃতির প্রেমে আরো মুগ্ধ করে তুলবে।
রাজার পাহাড়ে কি দেখতে পাবেন
গারো পাহাড়ের সৌন্দর্য
গারো পাহাড়ের সবচেয়ে উঁচু চূড়ায় অবস্থিত রাজার পাহাড় থেকে ভারতের কিছুটা সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। এখানে আপনি পাহাড়ের চূড়া থেকে দূরের দৃশ্যাবলী দেখতে পাবেন যা মনোমুগ্ধকর।
বিডিয়ার ক্যাম্প এবং অন্যান্য স্থান
পাহাড়ের কাছে রয়েছে বিডিয়ার ক্যাম্প, ওয়ার্ল্ড ভিশন, বিট অফিস, কারিতাস এবং রাবার বাগান। চাইলে এগুলো ঘুরে দেখতে পারেন। এই অঞ্চলের মানুষদের জন্য অন্যতম বিনোদন স্পট হচ্ছে রাজার পাহাড়।
বাবেলাকোনা কালচারাল একাডেমি
বাবেলাকোনা কালচারাল একাডেমি, যাদুঘর, লাইব্রেরী, গীর্জা, মন্দির ও অসংখ্য প্রাকৃতিক নির্দশন আপনাকে বিমোহিত করবে। এছাড়া, এখানে স্থানীয় আদিবাসী জনপদের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি ও জীবনধারা দেখতে পাবেন।
রাজার পাহাড়ে কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে যাতায়াত
আপনি বাংলাদেশের যে কোন স্থান থেকে রাজার পাহাড়ে ভ্রমণে যেতে পারেন। ঢাকা থেকে ভ্রমণের জন্য মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ড্রিমল্যান্ড, আনন্দ, তুরাগ সহ আরও কিছু এসি ও নন-এসি বাসে শেরপুর যাওয়া যায়। বিশেষভাবে ড্রিমল্যান্ড বাসে যেতে পারেন, যা দুপুর ২ টার সময় শেরপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
- ভাড়া: বাস ভ্রমণের জন্য জনপ্রতি ১০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা হতে পারে।
শেরপুর থেকে শ্রীবরদী যাত্রা
শেরপুরে নেমে স্থানীয় পরিবহণে প্রায় ৩৪ কিলোমিটার দূরে শ্রীবরদী উপজেলার কর্ণঝোরা বাজারে যেতে হবে। বাজারের কাছেই পর্যটন কেন্দ্রটি অবস্থিত।
রাজার পাহাড়ে খাবার ও থাকার ব্যবস্থা
কোথায় খাবেন
পাহাড় ভ্রমণে সাথে অবশ্যই খাবার পানি রাখবেন। আশেপাশে ছোট ছোট খাবারের দোকান পাবেন, তবে ভালো মানের খাবারের জন্য শেরপুর শহরের নিউ মার্কেট এলাকায় শাহজাহান হোটেল, হোটেল আহার এবং হোটেল প্রিন্সে খেতে পারেন।
কোথায় থাকবেন
একদিনের ভ্রমণের জন্য রাজার পাহাড় দারুণ একটি স্থান। তবে আপনি যদি ভ্রমণে গিয়ে থাকতে চান, তাহলে শেরপুর শহরের হোটেল সম্পদ, কাকলী, বর্ণালী গেষ্ট হাউজ, ভবানী প্লাজা সহ আরো কিছু হোটেল পাওয়া যাবে।
রাজার পাহাড় একটি অসাধারণ ভ্রমণ স্থান যা প্রকৃতিপ্রেমীদের মুগ্ধ করে। এই পাহাড় ও নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে আপনি একবার এখানে ঘুরে আসতে পারেন। রাজার পাহাড়ে এসে আপনার মনে হবে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে গেছেন, যেখানে সবুজে মোড়ানো পাহাড় এবং ঢেউফা নদীর শান্ত জলরাশি আপনাকে মনোরম করে তুলবে। আপনার রাজার পাহাড় ভ্রমণ হয়ে উঠুক আনন্দময় এবং স্মরণীয়।