ঢাকার কিছু এলাকায় ডাকাতির খবর: আতঙ্কে এলাকাবাসী, রাতভর পাহারা
ভূমিকা
ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সাম্প্রতিক ডাকাতির ঘটনা নিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুলিশবিহীন রাজধানীতে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকাবাসী রাতভর পাহারা বসিয়েছেন।
পরিস্থিতির বিবরণ
ডাকাতির ঘটনা:
মিরপুর, মোহাম্মদপুর, বছিলা, কালশী, ইসিবি চত্বর, উত্তরা, বাড্ডা ও ধানমন্ডি এলাকায় ডাকাতির প্রচেষ্টা এবং কিছু ক্ষেত্রে সফল ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, কাজীপাড়ার বাঁশপট্টি এলাকায় একাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। উত্তরা ও আদাবরেও একাধিক ডাকাতির খবর পাওয়া গেছে।
অতর্কিত পাহারা:
এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। বিভিন্ন এলাকায় মসজিদের মাইকে সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সতর্কতার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশের অবস্থা
থানার কার্যক্রম বন্ধ:
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর থেকে ঢাকার অনেক থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। থানা-পুলিশের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় নিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে।
পুলিশের প্রতিশ্রুতি:
নতুন পুলিশ প্রধান ময়নুল ইসলাম দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রতিটি ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি সব মেট্রোপলিটন, জেলা, নৌ, রেলওয়ে ও হাইওয়ে থানার কর্মকর্তা ও ফোর্সকে নিজ নিজ পুলিশ লাইনসে যোগদানের নির্দেশ দিয়েছেন।
এলাকাবাসীর উদ্বেগ
আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতা:
এলাকাবাসীরা অত্যন্ত আতঙ্কিত এবং নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছেন। অনেক এলাকায় রাতভর পাহারা বসানো হয়েছে। বাসিন্দারা থানা-পুলিশের কার্যক্রম শুরু করার দাবি জানাচ্ছেন।
সামাজিক উদ্যোগ:
ছাত্র-জনতা ও সাধারণ মানুষ মিলে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। মসজিদের মাইকে সতর্কবার্তা দেওয়ার পাশাপাশি ফেসবুকেও তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।
উপসংহার
ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির ঘটনায় বাসিন্দারা আতঙ্কিত এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। পুলিশবিহীন এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকাবাসী রাতভর পাহারা বসিয়েছেন। পুলিশের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন।
আরো পড়ুন:
শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং দেশ ত্যাগ
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও সংসদ ভবনে হামলা ও লুটপাট