নির্মাতা কাজল আরেফিন অমির ‘ফিমেল ফোর’: সমালোচনা ও বয়কটের মাঝেও বাণিজ্যিক সাফল্য
নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি সম্প্রতি তার নতুন ওয়েব ফিল্ম ‘ফিমেল ফোর’ নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েন। কোকাকোলার বিজ্ঞাপনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা ও বয়কটের ডাক দেওয়া হয়। তবে এই সবকিছু সত্ত্বেও, ‘ফিমেল ফোর’ দর্শকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং ব্যবসায়িকভাবে সফলতা অর্জন করেছে।
বিতর্ক ও সমালোচনা
কোকাকোলার বিজ্ঞাপন নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে কাজল আরেফিন অমির ‘ফিমেল ফোর’ ওয়েব ফিল্মটি নিয়ে দর্শক মহলে আলোচনা শুরু হয়। অনেকেই ফিল্মটিকে বয়কট করার ডাক দেন। ধারণা করা হচ্ছিল যে, এই বিতর্কের কারণে ফিল্মটি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে, সমালোচনা এবং বয়কটের ডাক ‘ফিমেল ফোর’-এর উপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারেনি।
ব্যবসায়িক সাফল্য
ওয়েব ফিল্ম ‘ফিমেল ফোর’ মুক্তি পাওয়ার পরপরই দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। পরিচালক কাজল আরেফিন অমি জানান, মুক্তির মাত্র তিন দিনের মধ্যে ৪ লাখ দর্শক ২০ টাকা ফি দিয়ে ওয়েব ফিল্মটি দেখেছেন। এর মধ্যে বিদেশি দর্শকও রয়েছেন, যারা ওয়েব ফিল্মটির প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
প্রথম দিনের রেকর্ড
কাজল আরেফিন অমি গণমাধ্যমকে জানান, ‘ফিমেল ফোর’ মুক্তির প্রথম তিন ঘণ্টায় ২ লাখের বেশি দর্শক দেখেছেন, যা তার পূর্ববর্তী ওয়েব ফিল্ম ‘অসময়’-এর রেকর্ড ভেঙে দেয়। এই সাফল্যের পেছনে দেশ-বিদেশের দর্শকদের অবদান উল্লেখযোগ্য। এমন দর্শকপ্রিয়তা এবং সহযোগিতার জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে।
আয় ও বাণিজ্যিক সাফল্য
‘ফিমেল ফোর’ ওয়েব ফিল্মটি মুক্তির পরপরই ৮০ লাখ টাকারও বেশি আয় করেছে। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ থেকে পাওয়া এই আয় ফিল্মটির বাণিজ্যিক সাফল্যের প্রমাণ। বয়কট ও সমালোচনা সত্ত্বেও, ‘ফিমেল ফোর’ তার মেধা ও নির্মাণশৈলীর মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে।
ভবিষ্যতের প্রত্যাশা
‘ফিমেল ফোর’-এর এই সাফল্য কাজল আরেফিন অমি এবং তার প্রযোজনা সংস্থা বঙ্গ-এর জন্য একটি বড় অর্জন। সমালোচনা ও বিতর্কের মধ্যেও এই সাফল্য প্রমাণ করে যে, ভালো কনটেন্ট সবসময়ই দর্শকদের আকর্ষণ করতে পারে।
‘ফিমেল ফোর’-এর এই বাণিজ্যিক সাফল্য এবং দর্শকমহলে ব্যাপক সাড়া পাওয়ার ঘটনা ভবিষ্যতে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আরও অনেক সফল প্রজেক্ট উপহার দেবে, এই প্রত্যাশা করাই যায়। কাজল আরেফিন অমি-এর মতো মেধাবী নির্মাতাদের জন্য এটি একটি অনুপ্রেরণা এবং প্রমাণ করে যে, সমালোচনা এবং বিতর্ক কখনও মেধার মূল্যায়ন করতে পারে না।
আরো পড়ুন: